সহজ করে কিছু শেখা

সম্পাদ্য কাকে বলে

এই টিউটোরিয়ালটির শেষে ...

সম্পাদ্য কাকে বলে তা বলতে পারা যাবে।

সম্পাদ্যের কয়টি অংশ তা বর্ণনা করতে পারা যাবে।



সম্পাদ্য

যে প্রতিজ্ঞায় কোন জ্যামিতিক বিষয় তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে অঙ্কন করে দেখানো হয় এবং যুক্তি দ্বারা অংকনের নির্ভুলতা প্রমাণ করা যায় তাকে সম্পাদ্য বলে। এখানে প্রতিজ্ঞা বলতে জ্যামিতিতে কোনো আলোচিত বিষয়কে বোঝানো হয়েছে অর্থাৎ, জ্যামিতিতে আলোচিত যেকোনো বিষয়কে জ্যামিতিক প্রতিজ্ঞা বলে।

জ্যামিতিক চিত্র অংকনের যন্ত্রাংশ বা উপাদান চিত্র
জ্যামিতিক চিত্র অংকনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বা উপাদান

আর তথ্য ও উপাত্ত বলতে যেসব শর্তাবলীর উপর নির্ভর করে চিত্র অংকন করা হয় তাকে বোঝায়। অর্থাৎ, চিত্র অংকনের জন্য যা দেওয়া থাকে যেমন - বাহুর দৈর্ঘ্য, কোণের পরিমাপ ইত্যাদিকে তথ্য ও উপাত্ত বলে। সমতল জ্যামিতি সম্পাদ্য নিয়ে আলোচনা করে।

সম্পাদ্যে যা করণীয়- তাই অংকন। অতএব যেকোনো একটি সম্পাদ্যে যুক্তি সঙ্গতভাবে অংকন করতে বলা হয়। অতপর ঐ অংকনের বিবরণ ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করতে হয়। তাছাড়া চিত্র অংকন নির্ভুলভাবে করা হয়েছে কিনা - তা যাচাই করা হয়। চিত্রের এই নির্ভুলতা যাচাই করার নামই হলো প্রমাণ। তাই সম্পাদ্য লিখার ক্ষেত্রে অংকনের বিবরণ লিখার পর প্রমাণ লিখতে হয়।

উদাহরণস্বরূপ: একটি ত্রিভুজের দুইটি বাহু ও তাদের অন্তভূক্ত একটি কোণ দেওয়া আছে। ত্রিভুজটি আঁকতে হবে।

  • এটি একটি সম্পাদ্য বিষয়ক প্রশ্ন।
  • দুইটি বাহু ও তাদের অন্তভূক্ত একটি কোণ হলো তথ্য বা উপাত্ত।
  • ত্রিভুজ চিত্র অংকন, অংকনের বিবরণ ও যুক্তি দ্বারা প্রমাণসহ সামগ্রিক বিষয়টি হলো পরিপূর্ণ একটি সম্পাদ্য।

সম্পাদ্যে, অংকনের জন্য কতকগুলো উপাদানের প্রয়োজন হয়। এসব উপাসমূহকে জ্যামিতিক চিত্র অংকনের যন্ত্রাংশ বা টুলস বলে। সাধারণত: চিত্র অংকনের অংকনের জন্য যেসমস্ত যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হয় তা হলো - কম্পাস, রুলার বা স্কেল, চাঁদা, পেন্সিল, রাবার ইত্যাদি। বিশ্বের সকল দেশের স্কুল জ্যামিতি অংশে সম্পাদ্য অন্তর্ভূক্ত।

সম্পাদ্যের কয়টি অংশ

একটি সম্পাদ্য মূলত: তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। অংশ তিনটি হলো -

সম্পাদ্যের ৩টি অংশ
  1. উপাত্ত
  2. চিত্র অংকন
  3. প্রমাণ

তবে সম্পাদ্যের প্রতিটি অংশ কী নিয়ে গঠিত এবং প্রতি অংশের ভূমিকা কি তথা সম্পাদ্য বিষয়ক সমস্যা ভালভাবে সমাধান করা জন্য সম্পাদ্যের কয়টি অংশ বিশদভাবে তা জানা দরকার। আবার একটি সম্পাদ্য কার্য সম্পাদন পরিপূর্ণ করার জন্য অংকনের বিবরণ, প্রমাণ ইত্যাদি লিখতে হয়। এসব লিখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়। একারণে একটি সম্পাদ্য সুসম্পন্ন করার জন্য সম্পাদ্য লেখার নিয়ম জানা অতি জরুরী।